1. admin@thedailystep.live : admin :
বৃহস্পতিবার, ০৮ মে ২০২৫, ১০:৫০ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
পৃথক জন্মনিবন্ধনে সরকারি দুই চাকরি নেওয়া সুজনকে লালমনিরহাটে বদলী রোহিঙ্গাদের ‘আলাদা রাজ্যের’ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান মিয়ানমারের পাহাড়-বন উজাড় করে বসতভিটা দুর্গম ত্রীমতিপাড়ায় প্রথম প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন করল বিজিবি ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা ও বিচার-প্রক্রিয়া সহজীকরণে কার্যক্রম চলমান: প্রধান বিচারপতি অপতথ্যের সবচেয়ে বড় সোর্স ভারতীয় মিডিয়া: প্রেস সচিব দেশকে এগিয়ে নিতে চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো ফরজ: প্রেস সচিব গণমাধ্যমের স্বাধীনতা সূচকে বাংলাদেশের ১৬ ধাপ উন্নতি গাজা অভিমুখী ত্রাণবাহী জাহাজে ড্রোন হামলা চবির ৫ম সমাবর্তন বাস্তবায়নে কাজ করছে ১৯টি উপ-কমিটি

পৃথক জন্মনিবন্ধনে সরকারি দুই চাকরি নেওয়া সুজনকে লালমনিরহাটে বদলী

অনলাইন ডেস্ক
  • প্রকাশের সময় : বৃহস্পতিবার, ৮ মে, ২০২৫
  • ২৩ বার পঠিত
  • দুই জন্মনিবন্ধন ও দুই জাতীয়তা সনদে সরকারি দুই চাকরি
  • নারী কেলেংকারীতে বরখাস্তবস্থায় বিভাগীয় তিন পদোন্নতি

সমতল ও পাহাড়ের পৃথক জেলায় দুই জন্মনিবন্ধন, দুই জাতীয়তা সনদ সৃষ্টি করে জালজালিয়াতিতে সরকারি দুই চাকরি নেওয়া চট্টগ্রামের আলোচিত জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়াকে লালমনিরহাট জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়ে বদলী করা হয়েছে। গতকাল বুধবার (৭মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) ডা. এ.বি.এম আবু হানিফ’র স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে তাকে বদলীর এই আদেশ দেওয়া হয়। এরআগে গত সোমবার (২৮ এপ্রিল) চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. জাহাঙ্গীর আলম তাকে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় হতে অব্যহতি দিয়ে জেলার ফটিকছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য ক্লিনিকে সংযুক্ত করে এক অফিস আদেশ জারি করেন।

সুজন বড়ুয়াকে ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার দোসর আখ্যায়িত এবং চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন কার্যালয় হতে দ্রুত অপসারণপূর্বক তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি আইনে ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ জানিয়েছে বাংলাদেশ হেলথ্ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন কেন্দ্রীয় কমিটি। গত (২৭ এপ্রিল) রবিবার সংগঠনটির প্রধান সমন্বয়ক মো. আখিল উদ্দিন, সদস্য সচিব মো. মোজাম্মেল হক, সমন্বয়ক একেএম মাইনুদ্দিন খোকন ও ওয়াসিউদ্দিন রানার যৌথভাবে একটি বার্তা দেন। এরআগে একই দাবীতে গত ২২ এপ্রিল মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছে বাংলাদেশ হেলথ্ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন, চট্টগ্রাম জেলা শাখা।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, জালজালিয়াতি ও তথ্যগোপন করে সরকারের স্বাস্থ্য বিভাগে দুই চাকরি নিয়ে রাষ্ট্রীয় অর্থ আত্মসাৎ করছেন চট্টগ্রাম সির্ভিন সার্জন কার্যালয়ে জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া। শুধুতাই নয়, চাকরিরত অবস্থাতেই ননজুডিসিয়াল স্টাম্পে ‘নোটারির’ মাধ্যমে ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন। নারী কেলেংকারিতে বরখাস্ত থাকা অবস্থাতেই নিয়েছেন বিভাগীয় তিন পদোন্নতি। বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ হতে ১০ম গ্রেডে অবৈধ প্রদোন্নতি নিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে আড়াল করে। তবে এত অভিযোগ ও জালজালিয়াতির ঘটনা তদন্তে উঠে আসার পরও অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দেয়ার সুপারিশ করেছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদকের) সমন্বিত জেলা কার্যালয়-২, চট্টগ্রামের উপরিচালক মো. আতিকুল আলম। ২০২২ সালের ৩১ মে সংস্থাটির বিভাগীয় পরিচালক বরাবরে পাঠানো পুন:অনুসন্ধান প্রতিবেদনে এ সুপারিশ করেন তিনি। ফ্যাসিবাদী আওয়ামী সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ সহকারী বিপ্লব বড়ুয়া ও প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ক্ষমতায় সুজন বড়ুয়া জালজালিয়াতির ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার পাশাপাশি শাস্তি, বদলী, পদায়ন, পদোন্নতি নিয়ন্ত্রণসহ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে এক ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি কে ছে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ হেলথ্ এসিস্ট্যান্ট এসোসিয়েশন চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি ফজলুল হক চৌধুরী।

ফজলুল হক চৌধুরী বলেন, মাঠ পর্যায়ের কর্মচারিদের বদলী, পদায়ন-পদোন্নতি বাণিজ্যের পাশাপাশি ও চিকিৎসক-কর্মচারিদের ট্রেনিং ভাতাসহ বিভিন্ন প্রোগ্রামের পাঁচ-৪০ শতাংশ কমিশন (ঘুষ) আদায় করেন সুজন। এসব নিয়ে কেউ মুখখুললেই তার উপর ভিন্ন কৌশলে শুরু হয় নানা নির্যাতন।

যদিও আতিকুল আলমের পাঠানো এই প্রতিবেদনের ভিত্তিতে আদৌ তাকে দায়মুক্তি দেয়া হয়েছে কি-না সংস্থাটির দায়িত্বশীল কারো সুস্পষ্ট কোনো বক্তব্য মিলেনি। এ বিষয়ে মুখখুলতে রাজি হননি জেলা ও বিভাগীয় কার্যালয়ের সংশ্লিষ্ট কোনো কর্তা।

সুজন বড়ুয়া চট্টগ্রাম সির্ভিন সার্জন কার্যালয়ে জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক ও স্বাস্থ্যের চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের দপ্তরে বিভাগীয় স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়কের পদে গত ছয় বছর ধরে অবস্থান করছিলেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক (প্রশাসন) (চ:দ:) ডা. এ.বি.এম আবু হানিফ’র স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, এই প্রজ্ঞাপন জনস্বার্থে জারী করা হল এবং প্রজ্ঞাপন জারীর সাত দিনের মধ্যে বদলীকৃত কর্মস্থলে যোগদান করতে হবে, অন্যথায় ৮ম দিন হতে সরাসরি অব্যাহতি পেয়েছে বলে গন্য হবে।

দুদকের দায়েরকৃত ‘পুন:অনুসন্ধান প্রতিবেদন’ ময়নাতদন্ত দেখা যায়, সুজন বড়ুয়া ননজুডিসিয়াল একশ টাকার তিনটি স্টাম্পের মাধ্যমে ঠিকানা পরিবর্তন করেছেন। আর এ ঠিকানা পরিবর্তনের মাধ্যমে তিনি নিজেকে দাবী করছেন পার্বত্য চট্টগ্রামের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম বড়ুয়া পাড়ার বাসিন্দা। পৃথক জেলায় নেয়া দুই চাকরিতেই বহাল তবিয়তে আছেন তিনি। বর্তমানে চট্টগ্রাম জেলা স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক পদে জেলার সিভিল সার্জন কার্য়ালয়ে নিয়মিত অফিস করছেন। অনুপস্থিত থেকেও সার্ভিস বুক ব্যবহারসহ সুযোগসুবিধা ভোগ করছেন কক্সবাজার সিভিল সার্জন কার্যালয়ে স্বাস্থ্য সহকারী পদে নেয়া প্রথম চাকরির। বিভিন্ন সময় নারী কেলেংকারিসহ নানান অপরাধে জড়িয়ে হয়েছেন বরখাস্ত। এরমধ্যে নিয়েছেন তিনটি বিভাগীয় পদোন্নতি।

এবার ‘চট্টগ্রাম স্বাস্থ্যে সুজনের ত্রাসের রাজত্ব, সংযুক্তি বদলি ও পদোন্নতি বাণিজ্যসহ নানা অভিযোগে’ তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন চট্টগ্রামের সির্ভিল সার্জন ডা. মো. জাহাঙ্গীন আলম। গত ২৪ সেপ্টেম্বর জেলার পটিয়া উপজেলার স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নাজমা আক্তারকে প্রধান করে তিন সদস্যের এ কমিটি গঠন করেন। কমিটির অন্য দুইজন হলেন ডা. মো. নুরুল হায়দার সদস্য ও ডা. মো. নওশাদ খান সদস্য সচিব।

দুদকের দায়েরকৃত পুনঃতদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায়, চট্টগ্রামের স্বাস্থ্য তত্ত্বাবধায়ক সুজন বড়ুয়া-ভুয়া নাগরিকত্ব ও আইডি কার্ড তৈরি করে একই সংস্থায় দুইটি চাকরি ও তিনটি পদোন্নতি নেয়ার অভিযোগে ২০১৯ এর ২১ অক্টোবর তদন্ত শুরু করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ সময় তদন্ত কর্মকর্তার দায়িত্ব পালন করেন দুদক চট্টগ্রাম সজেকা-২ এর সাবেক সহকারী উপপরিচালক মো. হুমায়ুন কবির। তিনি বদলী হয়ে ঢাকায় চলে যাওয়ার পর এ অভিযোগের তদন্তের দায়িত্ব পান সংস্থাটির উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন। তদন্ত কাজ শেষ করে শরীফ ২০২১ এর ২৮ জুন তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। যা পরবর্তীতে পুন:অনুসন্ধানে দুদক চট্টগ্রাম সজেকা-২ এর উপপরিচালক মো. আতিকুল আলমকে দায়িত্ব দেয়া হয়। সর্বশেষ তিনি সুজনকে অভিযোগ থেকে দায়মুক্তি দেয়ার সুপারিশ করে ২০২২ এর ৩১ মে দুদক চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালক বরাবরে পুন অনুসন্ধান দায়ের করেন।

২০০৪ সালে ‘স্বাস্থ্য সহকারী’ পদে চাকরি নেন ‘সুজন বড়ুয়া’। সেই সময় তার স্থায়ী ঠিকানা দেখান- কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের মরিচ্যা পালং গ্রাম। ওই গ্রামের বিমল চন্দ্র বড়ুয়া ও প্রীতি রানী বড়ুয়ার পুত্র তিনি। উখিয়ার হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদ’র তার জন্ম নিবন্ধন নাম্বার ১৯৮ ৩২২ ১৯৪ ১৫৫ ০৪ ৬৬৬। একই তথ্যের ভিত্তিতে ওই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিয়েছেন স্থানীয় জাতীয়তা সনদ পত্র (নাগরিকত্ত্ব সনদ)। যার সিরিয়াল নাম্বার ৮৪৮ তাং ১৫ অক্টোবর ২০০৩। এসব সনদ ও তথ্য উপাত্তে ২০০৪ সালের ৭ জুলাই কক্সবাজারের উখিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ‘স্বাস্থ্য সহকারী’ পদে চাকরিতে যোগদেন। তিনি ওইসময় স্বাস্থ্য বিভাগের স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে একটি অঙ্গিকারপত্রও জমা দেন। তার এ অঙ্গিকার পত্রেও স্থায়ী ঠিকানায় উল্লেখ করেন, গ্রাম-মরিচ্যা পালং, পোষ্ট অফিস- মরিচ্যা বাজার, ইউনিয়ন- হলদিয়া পালং, উপজেলা- উখিয়া, জেলা- কক্সবাজার।

প্রায় ৮বছর স্বাস্থ্য সহকারী পদে উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চাকরি করেন। এ চাকরি থাকা অবস্থাতেই ২০১২সালে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের অধীন স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদে চাকরি নেন তিনি। এ চাকরির আবেদন থেকে শুরু করে যোগদান পর্যন্ত সকল কাগজপত্রে নিজের স্থায়ী ঠিকানা উল্লেখ করেন “গ্রাম- উত্তর ঘুনধুম বড়ুয়া পাড়া, ওয়ার্ড নং-৫, ৩নং ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ, থানা- নাইক্ষ্যংছড়ি, জেলা- বান্দরবান”। এসব তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি করেন বান্দরবান জেলার স্থায়ী বাসিন্দা স্বরূপ বোমাং চীফ সার্কেলের সনদ। নতুনভাবে সৃজনকরে হয় জন্ম নিবন্ধন। নিয়েছেন স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের নাগরিকত্ত্ব সনদ।

রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদে স্যানিটারি ইন্সপেক্টরের নিয়োগ আবেদনের সংযুক্তিতে জমাদেয়া সুজন বড়ুয়ার জন্ম বিন্ধন সনদ যাচাই করে দেখা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি ৩নং ঘুমধুম ইউনিয়ন পরিষদ’র তার জন্মনিবন্ধন নাম্বার ১৯৮ ৩০৩ ১৭৩ ৫৭১ ০০ ৯৯৪। পারিবারিক বৃত্তান্তে সুজন বড়ুয়া’র পিতা- বিমল চন্দ্র বড়ুয়া আর মাতা- প্রিতি রানী বড়ুয়া। তবে এ ইউনিয়ন পরিষদ’র অনলাইন জন্ম নিবন্ধনে সুজন বড়ুয়ার পিতা- বিমল কান্তি বড়ুয়া, আর মাতা- প্রীতি রানী বড়ুয়া লিপিবদ্ধ রয়েছে। একই ইউনিয়ন পরিষদ থেকে নিয়েছেন স্থানীয় নাগরিকত্ব সনদ। যার সিরিয়াল নম্বর ৬৩৫, ১৪ এপ্রিল ২০১২। ভূয়া জমাবন্দি ও কাগজপত্রের মাধ্যমে নেন পার্বত্য এ জেলার স্থায়ী বাসিন্দার প্রমান স্বরূপ বান্দরবান বোমাং চীফ সার্কেলের সনদ। যার সিরিয়াল নম্বর ২৩০০৩, ৯ ডিসেম্বর ২০১২। বোমাং চীফ সার্কেল থেকে নেয়া স্থায়ী বাসিন্দা সনদ পত্রে উল্লেখ রয়েছে সুজন বড়ুয়া নাইক্ষ্যংছড়ির ২৬৭ নং ঘুমধুম মৌজার উত্তর ঘুমধুম বড়ুয়া পাড়ার বাসিন্দা।

চট্টগ্রাম স্বাস্থ্য বিভাগের একাধিক কর্মকর্তা জানান, রাঙামাটি জেলা পরিষদ’র এই নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে তিন পার্বত্য জেলার স্থায়ী বাসিন্দা ব্যতীত বাহিরের প্রার্থীরা আবেদন করার সুযোগ ছিল না। তাছাড়া, রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের ওই “নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি’র” ৮নম্বর শর্ত উল্লেখ রয়েছে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে চাকরি’র জন্য আবেদন এবং চাকরিতে যোগদানের আগে সরকারি চাকরি থেকে অব্যাহতিপত্র গ্রহণ করতে হবে। তবে নিয়োগের এসব শর্ত কোনটিই মানেননি সুজন বড়ুয়া। এখনও ব্যবহার করাছেন প্রথম স্বাস্থ্য সহকারী চাকরির সার্ভিস বুক।

রাঙামাটি সিভিল সার্জন কার্যালয়ের তথ্য প্রদানকারী কর্মকর্তা খোকন চাকমা রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদ ও সিভিল সার্জনের পক্ষে লিখিত বক্তব্যে জানান, ২০১২ সালে স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পদে নতুন চাকরি নিয়ে রাজস্থলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যোগদেন সুজন বড়ুয়া। যা সরাসরি নিয়োগ। আর এতে শুধুমাত্র তিন পার্বত্য জেলার যোগ্য বাসিন্দাদেরই আবেদন করার জন্য বলা হয়েছে। সমতলের কাউকে পাহাড়ে এনে বিভাগীয় পদায়ন বা পদোন্নতি দেয়ার কোনো সুযোগ বিধান নেই।

বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদ সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ সালে এই জেলা পরিষদ থেকে ১০ম গ্রেডে জেলা স্যানিটারী ইন্সপেক্টর হিসেবে পদোন্নতি নিয়েছে সুজন বড়ুয়া। যা উচ্চতর গ্রেড। ১০ গ্রেডে কোনো নিয়োগ, পদায়ন-পদোন্নতি দেয়ার এখতিয়ার পার্বত্য জেলা পরিষদের এখতিয়ার নাই। তবে সুজন গোপনে সাজসে পদোন্নতি নিয়ে পাহাড় থেকে সমতলে চলে আসেন। ভোগ করছেন উচ্চতর গ্রেডের সকল সুযোগসুবিধা ও বেতন-ভাতা।

এই বিষয়ে জানতে সুজন বড়ুয়ার মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হয়। তবে তিনি প্রতিবেদকের পরিচয় জানতে পেরে এখন ব্যস্ত আছি বলে মোবাইল ফোন বন্ধ করে দেন। পরে একাধিকাবর কল দেওয়া হলেও তিনি মুঠোফোন আর রিসিভড করেনি নি।##

Facebook Comments Box
এই ক্যাটাগরির আরও সংবাদ